বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ১২:৫৮ পূর্বাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টারঃ সুন্দরগঞ্জে গত ১২ দিনে ৩৮ হাজার ৩ জন শিক্ষার্থীকে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন দেয়া হয়েছে। ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের করোনার টিকাদান কার্যক্রমে স্বেচ্ছাসেবী হয়ে কাজ করেছেন উপজেলা স্কাউটের সদস্যরা। ভ্যাকসিন দেয়ার কাজে নিয়োজিত স্বাস্থ্যকর্মীদের সুবিধার্থে তাঁরা টিকা নিতে আসা শিক্ষার্থীদের সুশৃঙ্খল ও সারিবদ্ধভাবে সিড়ি বেয়ে উপর তলায় নেন। ভ্যাকসিন শেষে আবারও তাঁরা শিক্ষার্থীদের সিড়ি বেয়ে নিচ তলায় নেমে যেতে সহযোগিতা করেন। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার আয়োজনে উপজেলার ১৫০ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এ টিকাদান কার্যক্রমে অংশ নেয়।
টিকাদান কেন্দ্রের স্বাস্থ্যকর্মীরা জানান, ‘ভ্যাকসিন নিতে আসা শিক্ষার্থীদের সুশৃঙ্খল ও সারিবদ্ধভাবে নীচতলা থেকে সিড়ি বেয়ে উপর তলায় নিয়ে যাওয়া, ভ্যাকসিক রুমে ঢুকে দেয়া, আবার তাঁদের ভ্যাকসিন শেষে সিড়ি বেয়ে নীচে নেমে দেয়া ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাসহ বিভিন্ন কাজ করছে রোভার স্কাউটের সদস্যরা। তাদের জন্য আমাদের কাজ আরও সহজ হয়েছে। এখানে তারা সেচ্ছাসেবী হয়ে কাজ করছেন।’
সুন্দরগঞ্জ উপজেলা স্কাউট কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাহজাহান মিঞা জানান, প্রতিদিন কারো না কারো উপকার করা- এই বিশ্বাস ধারণ করে স্কাউট। সে কারণে টিকা নিতে আসা শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে ২০/২২ সদস্যের একটি টিম নিরলস ভাবে কাজ করেছে। সুষ্ঠু ও সুশৃঙ্খলভাবে টিকাদান কার্যক্রম সম্পন্ন করতেই এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিলো বলেও জানান তিনি।
সুন্দরগঞ্জ উপজেলা স্কাউটের সহকারি কমিশনার মোঃ আহসান হাবীব জানান, শুধু ভ্যাকসিন প্রোগ্রামের সাথে নয় করোনাকালীন সময়ে মানুষকে সচেতনতার জন্য মাইকিং, ত্রাণ বিতরণ, কম্বল বিতরণ, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, সাবান বিতরণ করেছি আমরা। যে কোন দুর্যোগ কিংবা মহামারিতে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে থাকার চেষ্টা করে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা স্কাউট।